মাস্ক পরাতে জরিমানায় কাজ না হলে ‘জেল’
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঘরের বাইরে মাস্ক ছাড়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় কারাগারেও যেতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি এসেছে সরকারের তরফ থেকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের ‘শক্ত অবস্থানে’ যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “আগেই আমরা বলেছি, এ সপ্তাহ থেকে আরেকটু স্ট্রং অ্যাকশনে যাব। আমার মনে হয় ঢাকার বাইরে কিছুটা পজিটিভ, ডিসিরা বলছেন জেলা সদরে মানুষ মোটামুটি কেয়ারফুল হচ্ছে।
“ঢাকা শহরে বোধহয় এখনও পুরোপুরি কেয়ারফলু হয়নি, তবে মোটামুটি একটা বার্তা যাচ্ছে যে ফাইন হয়ে যাবে, ফাইন দিতে হবে ৫০০ টাকা। বলে দিয়েছি, এখন থেকে ম্যাক্সিমাম ফাইন কর, না হলে আমরা আরও ইনস্ট্রাকশন দেব, বলেছি সর্বোচ্চ জরিমানা করতে।”
তারপরও মাস্ক না পরলে কী হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তারপরে জেলে যেতে হবে, আর কি করবে না যদি শোনে। … আমরা তো ঝুঁকি নিতে পারি না, আমাদের যতটুকু সম্ভব করতে হবে, আমরা বলে দিয়েছি।”
মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সারা দেশে যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে, সেভাবে আরও ৭-১০ দিন চালিয়ে এরপর থেকে তাদের আরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অযুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেতনামূলক পদক্ষেপের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন