কুষ্টিয়া আদালত এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এর আগে আদালত এলাকায় দীর্ঘ সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা।

সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু জানান, মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে রোববার (২২ জুলাই) কুষ্টিয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাহমুদুর রহমান। উভয় পক্ষের শুনানির পর বিচারক এম এম মোর্শেদে জামিন আদেশ দেন।

দুপুর ১টার দিকে তিনি সঙ্গীদের সাথে আদালত থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে আদালত ভবনের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে ছাত্রীলীগের নেতাকর্মীরা আটকে দেয়। এসময় তিনি পুনরায় আদালতের এজলাসে আশ্রয় নেন। দীর্ঘ সময় একই পরিবেশ বিরাজ করায় তিনি আদালতকে বিষয়টি জানান। পরে লিখিতভাবে পুলিশ প্রেটেকশনের জন্য তিনি আবেদন করেন। এসময় আদালতে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী কুষ্টিয়া বারের সিনিয়র আইনজীবি প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম, বিএফইউজে মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অনেকে তার সাথে ছিলেন।

পরে তিনি আদালত এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার ওপর ব্যাপকভাবে ইট-পাথর বর্ষণ করা হয়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় দলের মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলেই মাহমুদুর রহমানের মতো একজন বরেণ্য সাংবাদিকের ওপর তারা নির্যাতন চালাচ্ছে।