মিছিল নিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা
দীর্ঘ চার বছর আত্মগোপনে থাকার পর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর মিছিল নিয়ে গিয়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান সামু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ।
বুধবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত ও দায়রা জজ আদালতে তারা জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক চান মোহাম্মদ আলিম আল রাজী।
সকাল ৮টা থেকেই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল পরিমাB নেতাকর্মী জড়ো হতে থাকেন কাচারীবাজার এলাকায়। সকাল ১০টায় কাচারবাজার থেকে মিছিল নিয়ে তিন নেতাকে কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে আদালত চত্বরে এগিয়ে দেন সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
আত্মসমর্পণ উপলক্ষে দুপুরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে আদালতে আসেন মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, সাবেক এমপি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আফসার আলী, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন অনু, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শাহান, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু,সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু, জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান রানা, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সুলতান আলম বুলবুল, হারাগাছ পৌর বিএনপির সভাপতি মোনায়েম ফারুক, মিঠাপকুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম রাব্বানী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহা, সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মুসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ লিয়ন, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম তমালসহ রংপুর মহানগর, তারাগঞ্জ,গংগাচড়া, হারাগাছ, পীরগাছা,মিঠাপকুর,বদরগঞ্জ, রংপুর সদর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আফতাব হোসেন, অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সিসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা। আদালত মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে স্থানান্তর করেন। এরপর সেখানেও জামিন প্রার্থনা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা। ওই আদালতের বিচারক চান মোহাম্মদ আলিম আল রাজী জামিন শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে তাদের রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
আদালতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে টানা হরতাল অবরোধের নাশকতা, গাড়িতে আগুন দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ১২টিরও বেশী মামলা রয়েছে। আইনজীবিরা এর মধ্যে ৬টি মামলায় জামিন চেয়েছিলেন।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি জানান, বিএনপি নেতাদের নামে দায়ের করা মামলাগুলো মিথ্যা বানোয়াট। সরকার আন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে এসব মামলা করেছে। তাদের হয়রানি করার জন্য এসব মামলা করা হয়েছে। আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম আদালত নামঞ্জুর করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন