মিছিল-মিটিং করেন আপত্তি নেই কিন্তু মানুষকে অত্যাচার করলে ছাড়বো না : প্রধানমন্ত্রী

সহ্য করাকে দুর্বলতা মনে না করতে বিএনপিকে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আন্দোলনের নামে বোমা মারলে, মানুষকে অত্যাচার করলে একটাকেও ছাড়ব না।

শনিবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলেছি- আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায়, তাদের একটাকেও ছাড়ব না। এটা হলো বাস্তব কথা।’

তিনি বিএনপি আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের ওপর যে আঘাত দেওয়া হয়েছে আমরা তা ভুলিনি। আমরা সহ্য করছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে, সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। খুনিদের সঙ্গে নেই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না; কিন্তু যেভাবে তারা ওই অত্যাচারগুলো করেছিল আমরা ভুলব কীভাবে? সাধারণ মানুষ ভুলবে কীভাবে? তার ওপর তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, এটা কোনো মানুষের কাজ। জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারা, এটাই নাকি বিএনপির আন্দোলন!’

একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করে, মানুষের কল্যাণের কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করি। কিন্তু বিএনপি কী করে? ‘তারা (বিএনপি) ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কত মেয়েকে নির্যাতন করেছে? বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই তারা অত্যাচার করেনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছিল, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে ঠিক একইভাবে অত্যাচার করেছিল।’

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।