‘মিজানকে বিয়ে করতে না পারলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার উপায় নেই’
আলোচিত কুমিল্লায় বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়িতে অনশন করা তরুণী ছালমা আক্তারের বিয়ে নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
অনশন কারী ছালমা আক্তার জানান,আমি যদি মিজানকে বিয়ে না করতে পারি তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। মিজানকে তার মামার বাড়িতে লুকিয়ে রেখে টাকার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিজানের মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনরা। গত দুই বছর আগে বিদেশ থেকে এসে কোর্ট মেরিজের কথা বলে আমাকে কুমিল্লায় নিয়ে যায়, কিন্তু সে আমার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে সে আমাকে বললো কোর্ট বন্ধ। আমি বাড়ী ফিরতে নারাজ হলেও সে আমাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং শীঘ্রই বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। দুই দিন পর জানতে পারি সে বিদেশ চলে গেছে। তারপর তাকে বিয়ের কথা বললে সে জানায় জরুরী ভিত্তিতে সৌদিতে আসতে হয়েছে, আমি পরের ছুটিতে এসে তোমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেব।
ওই তরুণী বলেন, আমি আমার অভিভাবকদের জানাতে চাইলে সে আমাকে আত্মহত্যার ভয় দেখায়। দু বছর যাবত তার সাথে নিয়মিত কথা হত। কিন্তু কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে এসে তার জন্য অন্য কোথাও মেয়ে দেখলে আমি আর চুপ করে থাকতে পারিনি। যার জন্য জীবনের এতোটা ত্যাগ করলাম সে আমাকে ছেড়ে অন্য কোথাও বিয়ে করবে আমি তা মানতে পারি নি। যখন আমি মিজানের বাড়িতে আসি ঐদিনই তার মা আমাকে মেনে নিয়ে তাদের ঘরে তুলে নেয়।
ওই তরুণী আরও বলেন, বিয়ের কথা বললে তারা জানায় গ্রাম্য শালিসে টাকার বিনিময়ে মিমাংশা করে দেবে। আমি টাকা দিয়ে কী করব ,যদি আমার ইজ্জত ফিরে না পাই। আমি তাদেরকে বলে দিয়েছি হয় মিজানের স্ত্রীর মর্যাদা পাব না হয় আমি আত্মহত্যা করব এ ছাড়া আমার আর কোনো রাস্তা নেই। কিসের শালিস কীসের কী, আমি মিজানকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব। তবে এমন ঘটনায় এলাকায় তৈরী হয়েছে চাঞ্চলকর পরিবেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, জিন্নতপুর গ্রামের মিজানের সাথে আমরা ছালমা কে অনেক বার দেখেছি । যেহেতু মিজানের সাথে মেয়েটির শারীরিক সর্ম্পক হয়েছে কে তাকে বিয়ে করবে। তাই আমরা চাই মিজান মেয়েটিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে। শালিশ করে তো মেয়েটির আর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে না,তাছাড়া এসব জানার পর তাকে কোনো ছেলে বিয়ে করবে না।
বিষয়টি জানতে চাইলে রসুলপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, ছেলে বিদেশ চলে গেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় শালিশ বসবে।
চেয়ারম্যানের এমন মন্তব্যে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সবার প্রত্যাশা মিজান ও ছালমার বিয়ের ব্যবস্থা করে বাচাঁবে মেয়েটির সম্মান,মিটাবেন দুই পরিবারের কলহ।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন এর জিন্নতপুর গ্রামে বিষ নিয়ে বিয়ের দাবীতে অনষণ করেছে উপজেলার দেবিদ্বার মহিলা কলেজের ছাত্রী ছালমা আক্তার। কিন্তু পরিবার তাকে মেনে না নিয়ে সমঝোতার অপচেষ্টা করছে। যার কারণে মেয়েটির ভবিষ্যৎ দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন