মিম-রাজুর স্বজনদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, বিচারের আশ্বাস
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর স্বজনরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন। পাশাপাশি দুই পরিবারকেই ২০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র অনুদান হিসেবে দেন।
রবিবার দুর্ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপকভাবে ছাত্র আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান নিহত দিয়া খানম মিম ও রেজাউল করিম রাজুর স্বজনরা।
এর আগে মিমের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সড়কে অব্যস্থাপনা ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খান।
আর দুই মন্ত্রীকে মিমের বাবা নিজেও জানান কোথায় কোথায় সমস্যা। আর সেগুলোর যেন সমাধান হয় সে বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধও জানান।
এর মধ্যে মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বুধবার রাতে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছার কথা জানান।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি একটু দেখা করতেন আমি তাকে আমার অভিজ্ঞতা থেকে সড়কে অব্যবস্থাপনার কথা বলতাম। তাতে যদি সরকারের লাভ হতো তাহলে আমার মেয়ে হারানো দুঃখ কমত।’
এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমন্ত্রণ আসে এবং মিমের বাবাও তাতে না করেননি।
একই সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় মিমের সঙ্গে প্রাণ হারানো রেজাউল করিম রাজুর স্বজনদের সঙ্গে। পিতৃহারা রাজু পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকতেন তার খালাত ভাইয়ের বাসায়।
মিমের খালা নাজমা বেগম বলেন, বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি গাড়ি এসে দিয়ার মা রোকসানা বেগম, বাবা জাহাঙ্গীর আলম, বড় বোন রোকেয়া খানম রিয়া ও ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম আরাফাতকে নিয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন