মিরপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা এএসপি মিজানের ‘হত্যাকারী’


রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই ব্যক্তি এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদার (৫০) হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবি পুলিশের (পশ্চিম) অতিরিক্ত উপ কমিশনার পদের এক কর্মকর্তা জানান, নিহতদের ছবি দেখে তাদের ফারুক ও জাকির বলে মনে হচ্ছে; যারা এএসপি মিজান হত্যায় জড়িত।
এরআগে বুধবার ভোরে বেরিবাঁধ এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত হন ওই দুই ব্যক্তি। পরে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ডিবি পুলিশের দাবি নিহতরা ছিনতাইকারী।
গত ২১ জুন রূপনগর থানাধীন মিরপুর বেড়িবাঁধের বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে প্রায় ৫০০ গজ উত্তরে ঢাকা বোর্ড ক্লাবের সামনে থেকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত শনিবার শাহ আলম নামে একজনকে আটক করা হয়।
পরদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছিনতাইকারী শাহ আলম। সে সময় শাহ আলম তার সহযোগী হিসেবে জাকির ও ফারুকের নাম জানায়।
তবে আজ বেড়িবাঁধে বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে ডিবি পশ্চিম পল্লবীর জোনাল টিমের সিনিয়র (এসি) মো. শাহাদত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাইকারীদের একটি দল জড়ো হচ্ছে, গোপন খবরে মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চার ছিনতাইকারীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুইপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে দুই ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে ঢামেক হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন