মিরপুর স্টেডিয়াম নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা?
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রধান স্টেডিয়াম মিরপুরে ‘শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নিষিদ্ধ হওয়ার শংকা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। গত বছর বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সিরিজের সময় ঢাকা টেস্টের ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো মিরপুর স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে খারাপ বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)কে অবহিত করেন। ওই ঘটনার সূত্র ধরে বিবিসি বাংলার প্রকাশিত খবরে বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে।
২০১৭ সালের প্রায় অর্ধেক সময়জুড়ে সংস্কার করা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রধান স্টেডিয়াম মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই মাঠটি ‘হোম অব ক্রিকেট’ নামে পরিচিত।
গত বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার সময় ঢাকা টেস্টের ম্যাচ রেফারির ওই অভিযোগের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ১৪ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়।
এরপর মিরপুরে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি, তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পিচ নিয়ে সমালোচনা করেন তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পিচ ও আউটফিল্ড নিয়ে তামিম ইকবালের ‘কঠোর’ ভাষার সমালোচনা পছন্দ করেনি, এজন্য তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।
যদিও আউটফিল্ড নিয়ে যে আইসিসির কাছ থেকে সতর্কসংকেত বিসিবির কাছে এসে গেছে সেটি পরিষ্কার হয়েছিল বিসিবি সভাপতির কথাতেই।
এ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘পিচ নিয়ে কথা বলতেই পারে ক্রিকেটার কিন্তু আউটফিল্ড নিয়ে কেন কথা বলবে, আমরা আউটফিল্ড নিয়ে ইতোমধ্যে সতর্কসংকেত পেয়েছি। সামনে ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ঢাকার এই স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধও হয়ে যেতে পারে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।’
রোববার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজের সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের পিচ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পিচ বা আউটফিল্ড, মাঠসংক্রান্ত সবকিছু নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড সব সময় সতর্ক। আমরা নিয়মিত তদারকি করি, আমাদের আলাদা কমিটিই রয়েছে তারা রিপোর্ট দিয়ে থাকেন।’
মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘দেখুন কদিন আগেই মেলবোর্নের পিচ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, এটা আইসিসির নিয়মিত কাজের অংশ। এটা নিয়ে আমরা সতর্ক।’
মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডস ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন। আজ বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন যে কোনো মাঠই সব সময় একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে যায়, যেখানে বৃষ্টি বা আবহাওয়া বড় একটা নিয়ামক। তাই মাঠ সব সময় এক অবস্থায় থাকে না।
তিনি বলেন, “মিরপুরের আউটফিল্ড এখন অনেক ভালো। বিপিএলে ভালো রান হয়েছে। আমরা আশা করি, আর কেউ মিরপুরের মাঠ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সামনে সিরিজ আছে সেখানেই প্রমাণ পাবেন”।
২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হয়ে আসছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন