মিয়ানমারের ওপর ইইউর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে ২০ সদস্যের একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল। সংগৃহীত এসব তথ্য আগামী মে অথবা জুন মাসে মার্কিন নীতিনির্ধারণী ফোরামে পাঠানো হবে।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামী মঙ্গলবার রাখাইন রাজ্যে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ২০ সদস্যদের একটি দল গত মার্চ থেকে কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ১০২৫ জন রোহিঙ্গার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমার দাবি করেছিল- ‘এখন উপযুক্ত সময় নয়’। এরপর চলতি মাসে তারা ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়। গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংস নির্যাতনের পর এটিই জাতিসংঘের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদলের রাখাইন সফর হবে।
ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। চলতি সপ্তাহে ইইউ এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে। এতে আরো বলা হয়, এ ঘোষণার সঙ্গে মিয়ানমারের কয়েকজন জেনারেলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কা রয়েছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, ইইউর চলমান অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি এপ্রিলে। তার আগেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এর আওতায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি পড়বে। রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের ঘটনায় গত অক্টোবরে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হয় ইইউ। আগামী মে বা জুন মাসে মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মও মও সোয়েসহ সেনা কর্মকর্তাদের ভিসা নিষিদ্ধ এবং সম্পদ জব্দ করা হবে বলে জানিয়েছে ইইউ সূত্র।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন