মিয়ানমারে খনিধসে নিহত ১৫, শতাধিক প্রাণহানির শঙ্কা

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যের একটি পান্না খনিতে ভূমিধসে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৪৫ জন। স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার উত্তরাঞ্চলের হপকান্ত পান্না খনিতে ভূমিধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

হপকান্তের প্রশাসক কিয়াও সোয়ার অং বলেন, খনির একটি ঢালে স্থানীয়রা মূল্যবান পান্নার সংগ্রহে অনুসন্ধান করার সময় ভূমিধস হয়েছে। এতে অন্তত কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, কাদামাটির নিচ থেকে ১৫ জনের মরদেহ ও ৪৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর খনির লোন খিন এলাকায় পান্নার অনুসন্ধান কাজ বন্ধ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকার কেউ নিখোঁজ থাকলে তা প্রশাসনকে জানানোর জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিকেল সাড়ে ৫টার সময় অনুসন্ধান বন্ধ করেছি এবং আগামীকাল পুনরায় অনুসন্ধান শুরু হবে।

তিনি বলেন, হতাহতের শিকার পান্না সংগ্রহকারীরা কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন না। হপকান্ত এলাকায় স্থানীয়রা প্রায়ই খনির ময়লা-আবর্জনা থেকে মূল্যবান পান্না সংগ্রহ করে। চলতি বছরের মে মাসে একই খনিতে ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৫ সালে হপকান্তের এই খনিতে ভূমিধসে শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

তবে শনিবারের ভূমিধসের ঘটনায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির স্থানীয় এক নেতা।

দারিদ্র্য কবলিত কাচিন রাজ্যের হপকান্ত এলাকায় দেশটির প্রধান পান্না খনি অবস্থিত। চীন সীমান্তের কাছে কাচিনের এই অঞ্চলটিতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট পান্না পাওয়া যায়। তবে পান্না খনি থেকে উপার্জিত অর্থের অধিকাংশই বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী ও সাবেক সামরিক শাসকদের পকেটে চলে যায়।