মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২০ গ্রামবাসী নিহত

মিয়ানমারে আইয়ারওয়াদি নদির ডেল্টা অঞ্চলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে শনিবার অন্তত ২০ জন গ্রামবাসী নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

নিরাপত্তা বাহিনী গ্রামে অস্ত্র তল্লাশি চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গ্রামবাসীরা গুলতি ও আড় ধনুক ব্যবহার করে। খবর রয়টার্সের।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ এক ব্যক্তিকে ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী লায়েসউই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনজন ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যা ও দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

এ বিষয়ে জান্তা সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ইয়াঙ্গুন থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত লায়েসউই গ্রামে শনিবার ভোর বেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেনাসদস্যরা অস্ত্র তল্লাশির জন্য গ্রামে ঢুকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়।

স্থানীয় এক গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গ্রামের মানুষদের ছিল শুধু আড় ধনুক এবং গ্রামের অনেক মানুষ সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন।’

খিট থিট মিডিয়া ও ডেল্টা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। সেনাসদস্যরা স্থানীয় অধিবাসীদের লাঞ্ছিত করলে তারা গুলতি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করে।

রাষ্ট্রীয় এমআরটিভি চ্যানেল জানিয়েছে, কম্প্রেসড এয়ার গান ও ছোট তীর দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়। বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালানোর পরে তিনটি মৃতদেহ পাওয়া যায়।

রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা হবে গত প্রায় দুই মাসের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে একদিনে সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মিয়ানমারে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

গত শুক্রবার জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে এক বৈঠক করেছে দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের প্রতিনিধিরা। এ নিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। শনিবার মান্দালয় শহরে আসিয়ানের পতাকা পোড়ানো হয়েছে।