মিয়ানমার গণহত্যা চালাচ্ছে : মানবাধিকার কমিশন
রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের চলমান দমন অভিযানকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগেরও কথা বলেছে কমিশন।
সোমবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি যেভাবে বর্বর নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা ও অগ্নিসংযোগ চলছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে মিয়ানমারের সরকারকেই মন্তব্য করে রিয়াজুল হক বলেন, এ লক্ষে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ জরুরি। আর তা না হলে আন্তর্জাতিক কোর্ট অব জাস্টিসে মিয়ানমারের বিচার করার উদ্যোগ নিতে হবে।
এর আগে রোববার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং, বালুখালী এবং টেকনাফের নয়াপাড়া ও লেদা এলাকার কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সে অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, মিয়ানমার বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, ঘুমন্ত মানুষের প্রতি বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, মেয়েদের তুলে নেওয়া হয়েছে- তা সভ্য সমাজে হয় না। একটা ক্ষুদ্র জাতির ওপর এ রকম নির্যাতন, হত্যা-ধর্ষণ ও ঘরে ঘরে আগুন গণহত্যার শামিল।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মহলকে জানানো হয়েছিল। এখন আন্তর্জাতিক মহল রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিচ্ছে। তবুও মিয়ানমার দমন-পীড়ন বন্ধ করছে না।
গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলা করা হয়েছে অভিযোগ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার বাহিনী। রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, হত্যা ও তাদের ঘরবাড়ি জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা।
এ পর্যন্ত তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। পালাতে গিয়ে অনেকে গুলিতে, কেউ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় একশ রোহিঙ্গার লাশ পাওয়া গেছে সাগরে ও নাফ নদীতে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন