মিয়ানমার সফরে মোদির প্যাগোডা দর্শন

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের চরম সংকটের মুহূর্তে তিনদিনের সফরে শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি’র দেশে সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শেওঙ্গেডান প্যাগোডা পরিদর্শনে যান।

এরপর স্থানীয় কালি মন্দিরেও যান নরেন্দ্র মোদি। আড়াই হাজার বছরের পুরনো শেওঙ্গেডানের প্যাগোডা দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুরে দেখেন তিনি। এমনকি রীতি মোতাবেক প্যাগোডায় প্রবেশের পর ‘ভিজিটর্স বুক’ এ স্বাক্ষরও করেন তিনি।

প্যাগোডায় ঘোরার ছবি নিজেই টুইটারে পোস্ট করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কালিবাড়ি দর্শনের পর বাহাদুর শাহ জাফরের মাজারে যান তিনি। মিয়ানমারের শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভও পরিদর্শন করেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।

মোদি আশ্বাস দিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী সব রকম কার্যক্রমে ভারত মিয়ানমারের পাশে থাকবে। সে দেশের স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু চি’র সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মিয়ানমারের পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে রাখাইনে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদি।

modi-myanmar

থুয়ুনা স্টেডিয়ামে এক ভাষণে মোদি আরও বলেন, সব পক্ষই একসঙ্গে একটি উপায় খুঁজে বের করতে পারবেন বলে আমরা আশা করি; এতে করে মিয়ানমারের ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে না। একই সময়ে আমাদের শান্তি, ন্যায় বিচার, মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কল্যাণের জন্য সরকারকে সাহসী ও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। জনতার উচিত তখন সরকারের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের জন্য সবার আগে দেশ। সেকারণে জনগণের মঙ্গলের জন্য আমরা সাহসী ও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

মিয়ানমারের নাম ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সোনার অক্ষরে লেখা আছে। কারণ এই দেশেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।

রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন অং সান সু চি। গত কয়েকদিনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা। অথচ মিয়ানমারে সফরে গিয়ে সু চি’র সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেন মোদি।

সূত্র : দ্য ইকোনোমিকস টাইমস