মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তির প্রস্তাব রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের
এক মাসের স্বঘোষিত অস্ত্রবিরতি শেষে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে রাখাইনের রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা।
শনিবার বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এ প্রস্তাব দেয়। খবর রয়টার্সের।
তবে আগামী সোমবার মধ্যরাতে স্বঘোষিত এক মাসের অস্ত্র বিরতি শেষে পরবর্তীতে কী করবে তা বলেনি আরসা।
তবে সংগঠনটি বলছে, রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন বন্ধ করার ব্যাপারে তারা সংকল্পবদ্ধ।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, বার্মা (মিয়ানমার) সরকারে যেকোনো পর্যায় থেকে শান্তি স্থাপনের আগ্রহ ব্যক্ত করলে আরসা তাকে স্বাগত জানাবে এবং এতে সাড়া দেবে।
এ প্রস্তাবের ব্যাপারে মন্তব্য জানার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রকে পাওয়া যায়নি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর আরসা এক মাসের এক তরফা অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে মিয়ানমার সরকারকে সেনা অভিযান বন্ধ করে সমঝোতার আহ্বান জানালে তখন সরকারি মুখপাত্র বলেছিলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতা করার কোনো নীতি নেই আমাদের।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমারে পুলিশ ও সেনাদের ওপর আরসার বিদ্রোহীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ হামলায় ১২ নিরাপত্তা সদস্যসহ শতাধিক নিহত হন।
হামলার জের ধরে মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করে। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এবং নারী ও শিশুদের গণধর্ষণ শুরু করে। এতে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হন।
এ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। শরণার্থীদের আগমন এখনও অব্যাহত রয়েছে।
রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান এ নির্যাতনকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ, ফ্রান্সসহ অনেক দেশের অভিযোগ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন