মুকুট হারালেন এভ্রিল, নতুন মিস বাংলাদেশ জেসিয়া
বিয়ের তথ্য গোপন করায় সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন খেতাব। নতুন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয়েছে জেসিয়া ইসলামকে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় প্রতিযোগিতাটির আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসরীন চৌধুরী, প্রতিযোগিতার বিচারক বিবি রাসেল, শম্পা রেজা ও চঞ্চল মাহমুদ।
১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে ৬৭তম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার ওই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মিস ওয়ার্ল্ডের মূল প্রতিযোগিতার নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভোর্সি, সিঙ্গেল মাদাররা অংশ নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এভ্রিলের অংশগ্রহণ অবৈধ নয়। কারণ তার বিয়ে হলেও তিনি এখন সিঙ্গেল। এভ্রিল তার অবস্থান স্বীকার করে অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু যেহেতু তিনি তথ্য গোপন করেছেন, তাই শাস্তিস্বরূপ তাকে বাদ দেয়া হবে। মূল আয়োজনকারীরা চান না একজন মিথ্যাবাদী একটি দেশের প্রতিনিধি হয়ে আসুক।’
পরে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে হিসেবে জেসিয়া ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।
আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রায় ২৫ হাজার মেয়ে নাম নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্য থেকে কয়েকটি ধাপে বাছাই করা হয় সেরা ১০ । তারা হলেন রুকাইয়া জাহান, জান্নাতুল নাঈম, জারা মিতু, সাদিয়া ইমান, তৌহিদা তাসনিম, মিফতাহুল জান্নাত, সঞ্চিতা দত্ত, ফারহানা জামান, জান্নাতুল হিমি ও জেসিয়া ইসলাম।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী হলে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে জান্নাতুল হিমির নাম ঘোষণা করেন উপস্থাপক। তখনই আয়োজকরা মঞ্চে এসে জানান, উপস্থাপক ভুল করেছেন। আসলে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হলেন জান্নাতুল নাঈম। এরপর প্রথম রানার্স আপ হিসেবে জেসিয়া ইসলাম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হিসেবে জান্নাতুল হিমির নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকেই অনুষ্ঠানটি নিয়ে সমালোচনামুখর হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিনোদন অঙ্গন। বিচারকরা অভিযোগ করেন, তাদের রায়ে জান্নাতুল নাঈম মিস ওয়ার্ল্ড হননি।পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভ্রিলের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ মার্চ চন্দনাইশ পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় জান্নাতুল নাইমের। মাস দুয়েক পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। ওই বছরের ১১ জুন তালাকনামায় জান্নাতুলের স্বাক্ষরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়।একই উপজেলার ৫ নম্বর বরমা ইউনিয়নের সেরন্দি গ্রামের রাউলিবাগে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের বাড়ি।
তবে জান্নাতুল নাইম দাবি করে আসছেন, তার বাবা তাকে বাল্যবিবাহ দিয়েছিলন। এক দিনের জন্যও স্বামীর ঘরে যাননি তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন