মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাতের ফ্যান নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম : নূতন
মুক্তিযুদ্ধের সময় চিত্রনায়িকা নূতনের পরিবারের সদস্যরা খেতে পারতেন না। তাদের বাড়িতে এক গ্লাস ভাতের ফ্যান (মাড়) আসলে ভাই-বোন সকলেই মিলে কাড়াকাড়ি শুরু করে দিতেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নূতন যুদ্ধের সময়ের কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কষ্টের স্মৃতিচারণ করে চিত্রনায়িকা নূতন বলেন, আমি ছোট ছিলাম, তবে যুদ্ধ দেখেছি। দেখেছি কীভাবে পাকহানাদার বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে, কীভাবে তারা বাঙালিদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করেছে। আমরা অনেক কষ্ট করেছি। না খেয়ে থেকেছি। আমাদের বাড়িতে এক গ্লাস ভাতের ফ্যান আসলেই সবাই তাই নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম।
‘আমার মা আমাদের লুকিয়ে রাখতেন। গাছের ডালে উঠে আমরা পালিয়ে থাকতাম। সেইসব যারা দেখেনি, তারা স্বাধীনতার মর্ম বুঝবে না। যারা দেখেছে, তারা জানবে, বুঝবে স্বাধীন কীভাবে হয়েছে’-বলেন ঢাকার সিনেমার একসময়কার জনপ্রিয় এই নায়িকা।
তিনি বলেন, আমি একজন অভিনেত্রী। আমার পেশা অভিনয় করা। আমার জীবন এফডিসিতে শুরু, এফডিসিতেই শেষ হবে। আমরা অপনাদের বিনোদন দেয়ার জন্য কাজ করি। সারাদিন কাজ করে একটু বিনোদনের জন্য আপনারা হলে গিয়ে ছবি দেখেন। একটু নাচ, গান, কমেডি দেখে ভালো লাগল, আপনারা বাসায় ফিরে আসলেন। এটাতো জীবন না, জীবন হলো আগে নিজের দেশ। নিজের দেশকে আগে বাঁচান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ায় হাছান মাহমুদ আসেননি। আর শাহে আলম মুরাদ আরেকটি অনুষ্ঠানে থাকায় আসতে পারেননি।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন