মুক্তি পেয়েই যা বললেন কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ১০ শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এদিকে মুক্তি পেয়েই সরকারকে দেয়া আল্টিমেটামের কথা স্মরণ করিয়ে দেন বাংলদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান।

মঙ্গলবার দুপুরে এসব শিক্ষার্থী মুক্তি পান বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম।

জামিনে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারুক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইসলাম (এমবিএ) শেষ বর্ষের ছাত্র রাশেদ খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মশিউর রহমান, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তারিকুল ইসলাম, দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাইদুর রহমান, ইসলামি স্টাডিজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ সরদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন ও গাজীপুর ভাওয়াল কলেজের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন।

রাশেদ খানকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া বাকি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কর্তব্য পালনে বাধা দেয়া, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

কারাগার থেকে মুক্তির পর বাংলদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনসহ আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।