মুখে লম্বা দাড়ি নিয়ে সাকিবের ‘জুমা মুবারক’ পোস্টে মন্তব্যের ঝড়
গাড়িতে বসে আছেন তিনি। মুখে বড় দাড়ি। একটা ক্লোজ শট সেলফি। এ ছবি দিয়ে সবাই ‘জুমা মুবারক’ জানিয়েছেন ক্রিকেট ক্রেজ সাকিব আল হাসান। এই ক্রিকেট তারকার কোনো পোস্ট মানেই তা ভাইরাল। এটাও তাই। তবে এ ছবিতে কিছু বিরূপ মন্তব্য এসেছে। মূলত তার এই দাড়ি নিয়ে কমেন্টের ঘরে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে। এখানে মানুষের নানা প্রতিক্রিয়া একনজরে দেখে নেয়া যাক।
মোজাম্মেল বাচ্চু নামের একজন প্রশংসাসূচক বাক্যে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ভালো এবং সুন্দর দেখাচ্ছে। তবে এই কমেন্টে আসিফুল অভি লিখেছেন, হুজুগে খুশি হওয়ার আগে ছবিটা জুম করে দেখেন! এইটা লাগানো দাড়ি! বিঃদ্রঃ দাড়ির আঠাযুক্ত স্টিকার দেখা যাচ্ছে!
আবু সাঈদ তুহিন বলছেন, মাশাআল্লাহ লেখার আগে ফটোটা জুম করে দেখুন…সাকিব এটা না করলেও পারতো।
ইব্রাহিম খলিল দিপু বলছেন, সাকিব ভাই, খুশি হলাম আপনার এমন পরিবর্তন দেখে। কিন্তু ভাবীকেও কি আপনার মত ইসলামি নিয়ম কানুনের ভেতর নিয়ে আসা যায় না?
মো. শাহজালাল মিয়ার মন্তব্য, ভাই,আফনেরে দেখি পুরাই জঙ্গীদের মত লাগতেছে।
মহিউদ্দিন হাওলাদার বলছেন, দাড়ি নিয়ে তামাশা করার কারণ কি? এটা নবীর সুন্নত, তামাশা করবেন না।
মেহেদি ইএনএফ’র মন্তব্য, ভাই এই ফেক দাড়ি লাগিয়ে ছবি দেওয়ার কি দরকার ছিল???? শুধু শুধু নিজের মানসম্মানটুকু ডুবাইলেন। ছিঃ।
ফয়সাল আহমেদ লিখেছেন, ফেক দাড়ি। মনে হচ্ছে স্টিকর দিয়ে লাগানো?
ইঞ্জিনিয়ার খলিলুর তাকে ‘ভন্ড চাচা’ বলেছেন।
আবদুর রহমান রায়হান স্মিথ বলছেন, সাকিব ভাই কি ফাযলামী করেন নাকি দাড়ি নিয়া?
নিজেকে নিজে ট্রল করার সুযোগ করে দিচ্ছেন কেন?
মো. তৌফিকুল ইসলাম লিমন লেখেন, আমি আপনার খুব ভক্ত…তবে স্যার যদি দাড়ি রাখেন তাহলে একেবারে রাখবেন। দয়া করে নবীর সুন্নত নিয়ে ফ্যাশন করবেন না।
মামুন রশিদ বলছেন, কত দিন আগের পিক। হুদাই ১ বছর আগের পিক দিয়া জুম্মা মুবারক ট্যাগ বসাইয়া দিলা। ২ দিন আগেও সানরাইজের হয়ে ক্লিন সেভ এ খেল্লা। জুম্মা মুবারকের সাথে যে দাড়িওয়ালা পিক থাকা লাগবে এমন কথা না। তোমার রিসেন্ট পিক দিয়েও এটা করা যেত। জানি না কোন…পেজটা কন্ট্রোল করে। বেস্ট অফ লাক ফর ইউর নেক্সট ম্যাচ।
শোয়েব সৈকত বলছেন, ফেক হোক। তাওতো অনেক সুন্দর লাগছে। বাজে কমেন্ট না করে ভাইকে উৎসাহ দিন। সত্যিই যেন এমন দাড়ি রাখেন। আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে। নূরানি চেহারা।
ইজাজুর রহমান ইমন লিখেছেন, মাশাআল্লাহ,অনেক সুন্দর লাগছে আপনাকে ভাই। আল্লাহ কবুল করুন।
জিহাম মুবারকের মন্তব্য, মাওলানা মোহাম্মদ সাকিব আল হাসান জিহাদী সাহেব।
সাব্বির রহমানের কমেন্ট, বুকে আয় ভাই। এই যুগে এমন নিঃস্বার্থ মানুষ আমি দেখি নাই, যে একাদশের বাহিরে থেকেও প্রত্যেক ম্যাচে পোস্ট দিয়ে এমবি খরচ করে।
আতাউর সুষময় বলছেন, হযরতে মাওলানা কায়েমি আখেরি দয়াল হাজী সাকিব অল হাসান সাহেব!
এই ছবিতো কয়েকবছর আগের ছবি। এখন আপলোড দিয়ে পাবলিককে বিভ্রান্তি করছেন যে? জনগণ তো ভাববে আপনার হরমোনে সমস্যা আছে প্রচুরভাবে। কেননা গত পরশু খেলায় দেখছে কেমন, আজ দেখছে পুরো উল্টো!
আহমেদ মুত্তকিম লিখেছেন, ভাই থুতনির নিচের আঠা গুলো মুছে নিলে ভালো হতো। আঠায় আঙুলের ছাপ পইড়া গেছে পুরা। আর যেই গাধারা কইতাছে এটা হজের পরের ছবি, ওগোরে কই, হজের পর ওর মাথায় চুল আছিল কট্টুক কট্টুক? মূর্খ বলদগুলা।
বিটিডাব্লিউ’ কমেন্ট, বাংলা ছবির আলগা দাড়ি লাগানো সাইড নায়কের মতন লাগতেছে।
সাদেক হোসেন খোকা লিখেছেন, ভাই আপনারে না নিলে হায়দদ্রাবাদ হারবে হারুকগা! বাদ পরবে পরুকগা। আপনে ওইখানে থাইক্কাই ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রস্তুতি নেন!
এনামুল হক বিজয় বলছেন, আপনাকে নেয় না এজন্য হারছে। মানসম্মান আর রাখলেন না। দলে খেলার সুযোগ দেয় না আপনাকে, কয়টা টাকার জন্য পড়ে আছেন। কি করবেন এত টাকা দিয়ে? দাফনের কাপড়ের তো পকেট নাই।
তানভীর মুন্নার মন্তব্য হলো, এই লজ্জা রাখিবো কোথায়, একজন অলরাউন্ডার কে বসিয়ে রাখা কি লজ্জার নয়, অবশ্য আমরা লজ্জা পেয়ে কি লাভ আপনি তো লজ্জা পাচ্ছেন না!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন