মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী জহিরুল ইসলাম ওরফে জুয়েল শেখ।অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী জুয়েল শেখ শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ কামারগাও গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদ শেখের পুত্র।
তার নামে দায়েরকৃত মামলা নং-সিআর ১০৫/২৪।ধারা ৪০৬/৪২০।গ্রেফতারী পরোয়ানার স্বারক নং -১১৩৮।তারিখ-২০/০২/২০২৫।চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পিরোজপুর। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পিরোজপুরের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।
জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার রাধানগর এলাকার মৃত মোঃ ফজলুল হক হাওলাদারের পুত্র সাইফুল ইসলামের সাথে আসামী জুয়েল শেখের যৌথ কারবারের চুক্তিতে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়।একপর্যায়ে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজ শুরু হলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকার মাওয়া ৩ নং ফেরিঘাটে তারা ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসা পরিচালনার ১০ বছর পর হঠাৎ সাইফুলের পিতা মারা যায়।এ সুযোগে জুয়েল শেখ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পাওনা টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতে থাকে।প্রথম ধাপে ৩৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৩১ টাকা, ২য় ধাপে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩য় ধাপে ১০ লাখ টাকা, ৪র্থ ধাপে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিকট ৩৩ লাখ টাকার বিল ব্যবসায়িক পার্টনারকে না জানিয়ে গ্রহন করার কথা স্বীকার করেছে আসামী জুয়েল শেখ।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এখানে আমি নতুন যোগদান করেছি।বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওয়ারেন্টভুক্ত হলে আসামী অবশ্যই গ্রেফতার হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন