মৃত্যুদণ্ডের মুখে সৌদির ৭ নারী মানবাধিকার কর্মী!
নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসা সৌদি আরবের গ্রেফতারকৃত সাত নারী মানবাধিকার কর্মী মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেতে পারেন। দেশটির আরবি ভাষার দৈনিক ওকাজের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আইনজীবী ও বিচারকরা বলেছেন, গত সপ্তাহে গ্রেফতারকৃত প্রখ্যাত নারী মানবাধিকার কর্মীদের ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার সংশ্লিষ্ট কিছু গণমাধ্যম। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদির এক মানবাধিকার কর্মী বলেছেন, ‘আমরা দেখছি, সৌদিতে মানবাধিকার কর্মীদের যেকোনো ধরনের কার্যক্রমের প্রতি সহনশীল নয় কর্তৃপক্ষ।’
‘এর অর্থ হচ্ছে মানুষের কাছে এক ধরনের পরিষ্কার বার্তা দেয়া যে, জনগণের কল্যাণে কারো কথা বলার অধিকার নেই; রাষ্ট্র ছাড়া কোনো ব্যক্তি সমাজের বিষয়ে নাক গলাতে পারবে না।’
সৌদি সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদেশি শত্রুদের আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব ও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সন্দেহজনক যোগাযোগের দায়ে ওই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নাম উল্লেখ না করে এতে জাতীয় এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘনে একযোগে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে বিবৃতিতে গ্রেফতার সাত মানবাধিকার কর্মীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সাত মানবাধিকার কর্মীকে ছেড়ে দিতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন, এমান আল-নাফজান, লুজাইন আল-হাথলাউল, আজিজা আল-ইউসেফ, আয়শা আল-মানি, ইব্রাহীম মোদেইমিঘ ও মোহাম্মদ আল-রাবেয়া। নারী ও পুরুষ এই মানবাধিকার কর্মীরা দেশটির নারী অধিকারের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন