মৃত্যুবার্ষিতে কবর জিয়ারতে আসেননি উপদেষ্টারা, আবু সাঈদের মায়ের আক্ষেপ

শহীদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকত আলী ও রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জের বাবুনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন।
কিন্তু আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উপদেষ্টারা রংপুরে আসলেও কবর জিয়ারতে না আসায় আবু সাঈদের মমতাময়ী মা আক্ষেপ করে বলেন, ‘যার জন্য খুনি হাসিনা সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে তাঁকেই ভুলতে বসেছে বর্তমান সরকার। সরকারের উপদেষ্টারা আজ আমার বাড়িতে আসলোনা- খুব ব্যথিত হয়েছি, মনে কষ্ট পেয়েছি। আবু সাঈদের জন্য এত্ত কিছু হলো, সেই ছেলেটার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার জন্যে উপদেষ্টারা কেউ আসলোনা!
তিনি ছেলের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাসে বলেন, আমার বাড়িতে আজ কেউ নাই। সবাইকে ওরা নিয়ে গেছে রংপুরে। শুধু আমি যাই নাই। আমার বুকের মানিক আবু সাঈদকে রেখে আমি কোথাও যাবোনা। কবর দেখিয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা মনোয়ারা বেগম।
শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করে তা বাতিল করায় আশাহত হয়েছেন আবু সাঈদের মা। তিনি বলেন, আজ আবু সাঈদকে হারানোর এক বছরপূর্ণ হলো। অথচ সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠান নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি।
এসময় পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অংশ গ্রহন করেন। উপাচার্য ড. শওকত আলী বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ দু’হাত প্রসারিত করে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।
বেরোবির এই মেধাবী শিক্ষার্থী দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য অধিকার ও আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে আমাদের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার বীরত্ব, আত্মত্যাগ শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব দেখেছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন