মৃত্যুর ৪ বছর পর যশোর জেলা আ.লীগের কমিটিতে পদ!
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে শুক্রবার (৩০ জুলাই)। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ২০ মাস পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৯ জনকে উপদেষ্টা সহ ৯৪ সদস্যে বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন।
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলন থেকে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
এদিকে, মৃত্যুর ৪ বছর পর নতুন এই কমিটিতে জায়গা হয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ.সভাপতি উপজেলার গোগা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত গোলাম রসুলের।
মৃত্যুর ৪ বছর পর গোলাম রসুলকে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য (ক্রমিক নং-১০) করায় জেলা উপজেলা জুড়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনার। এ নিয়ে ত্যাগী নেতা কর্মীদের মধ্যে নানা ধরনের ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে।
মৃত্যুর ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সংবাদটি কেন্দ্রীয় কমিটি বা জেলা কমিটি না জানাটা দুঃখ জনক বলে মনে করছেন সাধারণ আ.লীগ কর্মীরা।
শার্শার গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ জানান, ‘উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ.সভাপতি এবং জেলা কমিটির সদস্য গোলাম রসুল গত ৪ বছর আগে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই মারা যান।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের গোগা গ্রামের মৃত গোলাম রসুলকে সম্প্রতি যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসাবে নাম ঘোষনা দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।’
এ বিষয়ে মরহুম গোলাম রসুলের ছেলে গোগা ইউনাইটেড আদর্শ কলেজের প্রভাষক ওমর ফারুক বলেন, ‘বাবা ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিয়ন ও উপজেলায়। বাবার মৃত্যুর ৪ বছর পর জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে কীভাবে জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যপদ পেয়েছেন বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা থেকে প্রমাণ হয় যখন প্রয়োজন পড়ে তখন নেতারা তৃণমূল নেতাদের খোঁজ নেয়।’
শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু জানান, ‘কি ভাবে এরকম হলো তা আমরা নিজেরাও জানি না।’
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন মুঠোফোনে জানান, ‘আমরা জেলা আওয়ামীলীগ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কোনো কারণে চিঠিটা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে হয়তো পৌছায়নি। সেই কারণে তার নামটি বাদ যায়নি।’
এদিকে, প্রান্তিক পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘সম্মেলন হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে এতো মাস সময় লাগার কোন যৌক্তিকতা নেই। তার উপর আবার সেই কমিটিতেই মৃত ব্যক্তির স্থান!’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন