মেক্সিকো সিটিতে আনন্দঘন পরিবেশে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী পালিত
মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাব গাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্ম বার্ষিকী, স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ (জিটিআইসিসি)-এর সাথে সম্মিলিতভাবে পালন করে।
মেক্সিকোতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ডঃ পঙ্কজ শর্মা ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম অদ্য ১৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে জিটিআইসিসিতে রবীন্দ্র-নজরুল প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
রবীন্দ্র-নজরুল-কে দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত মহোদয়গণ তাদের বক্তব্যে বাঙালি জাতির সাংস্কৃতির চিন্তা-চেতনা-মনন ও দর্শনে রবীন্দ্র -নজরুলের লেখনির অনবদ্য অবদানসহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনসহ ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের লেখনীর প্রভাবসমূহ তুলে ধরেন।
সাংস্কৃতিক পর্বে, মেক্সিকান শিল্পী কানাই ও অর্জুন রবীন্দ্র সংগীত এবং যুগল বন্দি পরিবেশন করে। পরবর্তিতে, রবীন্দ্র এবং নজরুল সংগীতের সাথে মেক্সিকান নৃত্য শিল্পী আর্নেস্ট দেলা তেজা এবং ভেরণিকার নৃত্য উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। জিটিআইসিসি এর পরিচালক অভিনয় রাজ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহনাজ রানুর বাংলা ও স্প্যানিশ ভাষায় রবীন্দ্রও নজরুলের কবিতা আবৃত্তি, এবং সেইসাথে বাংলাদেশের শিল্পী তানহা তাবাসসুম ও রাইসা আহমেদের রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের বিমুগ্ধ করে। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীতের মূর্ছনা অনুষ্ঠানে এক চমৎকার আবহ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ১৫০ জন দর্শক শ্রোতা ও স্থানীয় অতিথিবর্গ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মুখরোচক খাবার পরিবেশন এবং আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন