মেসির রেকর্ড, বার্সার জয়
একটি সিদ্ধান্তে কীভাবে খেলার মজা নষ্ট করে দেওয়া যায় সেটাই দেখিয়ে দিলেন রেফারি। বিতর্কিত এক লাল কার্ডে জমজমাট এক ম্যাচের আশায় জল ঢেলে দিলেন রেফারি রিকার্দো বুর্গোস। লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত এক গোল, মেসির রেকর্ড ছোঁয়া ছাপিয়েও তাই আলোচনায় রইল লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত। দশজনের ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে সুয়ারেজ-মেসির গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল বার্সেলোনার কাছে। নিজেদের মাঠে শুরুতে শুধু বলের পিছু পিছুই ঘুরেছে ভিয়ারিয়াল। পাসের পর পাস দিয়ে ভিয়ারিয়াল বক্সের আশ পাশে ঘুরেছে বার্সা খেলোয়াড়েরা। কিন্তু বক্সে ঢুকতে যেন বড্ড আপত্তি তাঁদের! এ সুযোগেই পালটা আক্রমণে উঠে ভয় ধরিয়েছে ভিয়ারিয়াল। ম্যাচের প্রথম ভালো দুটো সুযোগ সৃষ্টি করেছে স্বাগতিক দলই। মার্ক টের স্টেগান বাধা না হলে, প্রথমার্ধেই পিছিয়ে যেতে পারত বার্সা। ২২ মিনিটেই পাল্টা দিতে পারত বার্সা। কিন্তু মেসির ফ্রি কিক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন সার্জিও এসেনহো।
বার্সেলোনা খেলার ধরনে এরপরও পরিবর্তন আনেনি। পাসের পর পাস দিয়ে প্রতিপক্ষকে ক্লান্ত করার পরিকল্পনা বোঝা যাচ্ছিল পরিষ্কার। প্রতি আক্রমণে ওঠা ভিয়ারিয়ালই বরং এ সময়টায় ভালো খেলেছে। রবার্তো সরিয়ানোর ভুল সিদ্ধান্ত ও ভুল পাসের কারণে অন্তত দুটো সুযোগ নষ্ট হয়েছে ভিয়ারিয়ালের। এর মাঝেই মেসির একটি শট ডান পোস্ট ঘেঁষে বেড়িয়ে যাওয়ায় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের সেরা দুই খেলোয়াড়ের একজন রুবেন সেমেদো চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে স্বস্তি পান মেসি। এতক্ষণ যে সেমেদো তাঁর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিলেন পুরোটা সময়। ৬০ মিনিটেই ঘটল ম্যাচের রূপ বদলে দেওয়া ঘটনাটি। বার্সা বক্সের কাছে সার্জিও বুসকেটসকে স্লাইডিং ট্যাকল করেন দানি রাবা। তাঁকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। যদিও ধারাভাষ্যকারের চোখে এটি ছিল হলুদ কার্ডের উপযুক্ত।
ভিয়ারিয়ালের হয়ে সবচেয়ে ভালো খেলছিলেন রাবা। তাঁকে হারিয়ে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বার্সেলোনা। ৬৭ মিনিটে সুয়ারেজের একটি শট পোস্টে লাগায় তখনই এগিয়ে যায়নি বার্সা। ৭২ মিনিটে অবশ্য পোস্টকে সে সুযোগ আর দেননি সুয়ারেজ। মেসি-আলকাসেরের পা থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে গোলকিপারকেও কাটিয়ে গোল বের করে নেন।
গোল খেয়ে পাল্টা আক্রমণে ওঠে ভিয়ারিয়াল। ৭৫ মিনিটে স্টেগেন টানা দুটো সেভ না করলে, ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারত ভিয়ারিয়াল। ৮২ মিনিটে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারে তারা। নিজেদের অর্ধে বল তুলে দেয় বুসকেটসের পায়ে। সেটা মেসির পায়ে দিতেই, বাকি কাজটা সেরে নেন বার্সা অধিনায়ক। এ গোল দিয়েই জার্ড মুলারের দখলে থাকা এক রেকর্ড ছুঁয়েছেন মেসি। বার্সার জার্সিতে ৫২৫ গোল করেছেন মেসি। একই ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলের এই রেকর্ড এত দিন শুধু বায়ার্ন মিউনিখের জার্ড মুলারেরই ছিল।
এ জয়ে দুইয়ে থাকা ভ্যালেন্সিয়া থেকে ৫ ও রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে থাকল বার্সেলোনা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন