মেহেরপুরে কিশোর গ্যাং এর সাবধানবানি লেখা বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার
মেহেরপুরে কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এতদিন ইভটিজিংয়ের মধ্যে আটকে ছিলো। এবার ঘোষণা দিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। এরপরই আতংক ভর করেছে মানুষের মনে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মেহেরপুরের গাংনীর বামুন্দী বাজারে ‘নাসিম ফল ভাণ্ডারের’ সামনে থেকে লাল কাগজ মোড়ানো ‘সাবধান’ বানি লেখা বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ। বোমাসাদৃশ্য বস্তুর সাথে একটি চাঁদা দাবি সম্বলিত চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইসরাফিল হোসেন জানান, সকালে ফল ব্যবসায়ী নাসিম বোমাসাদৃশ্য বস্তুটি দেখে তাদের অবহিত করেন। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে পানিভর্তি পাত্রে চুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করছে। তিনি আরও জানান- পুলিশ বাজারের বিভিন্ন দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে নীল রঙের পোশাক ও মাফলার পরিহিত একযুবক বোমাসাদৃশ্য বস্তুটি রেখে যাচ্ছেন। আতংক ছড়ানোর জন্য এটি রাখা হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
আইন শৃক্সখলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় কিশোর গ্যাং মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বলে অনেকে মনে করছেন। সম্প্রতি মেহেরপুর জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল মেহেরপুর পৌর এলাকায় বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়া, চায়ের দোকান, কলেজের মোড়ে কিশোর গ্যাং ইভটিজিং বিরোধী অভিযান চালান। কয়েকদিন বন্ধ ছিলো সেই অভিযানের পর। এরপর ফের শহরের বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের ইভটিজিং তৎপরতা লক্ষ্য করার মতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান- এসব কিশোর গ্যাংয়ের বেশিরভাগের পেছনেই তেমন কোন রাজনৈতিক আশির্বাদ ও পরিচয় না থাকলেও ক্রমশ তারা ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। গোটা সমাজ এসব বখাটেদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। আইনশৃক্সখলা বাহিনীর দীর্ঘ দিনের উদাসীনতার কারণেই এসব কিশোর গ্যাং নিজেদের ক্ষমতা জাহির করে চলেছে। তবে সমাজের বিজ্ঞজনদের মতে আইনশৃক্সখলা বাহিনী তৎপর নাহলে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন