মেয়েকে ধর্ষণ পুলিশ পুত্রের, অভিযোগ জানিয়ে গাড়ি চাপায় বাবার মৃত্যু
২ দিন আগে মেয়ের ‘গণধর্ষণ’ হয়েছে। কোনও রকমে সাহস জুগিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু আর ফিরলেন না। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো তার। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ কানপুরে।
তবে এই মৃত্যুর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে।
জিনিউজ২৪ এর এক খবরে জানা যায়, ‘গণধর্ষণ’ মামলায় অভিযুক্তদের বাবা দীপু যাদব এবং সৌরভ যাদব দুজনেই কানপুরের কান্নুজ জেলায় পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত রয়েছেন। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গলু যাদবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। ‘গণধর্ষণ’ মামলা দায়ের করার পর থেকেই অভিযুক্তদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। তারা অভিযোগ জানিয়েছে, তাদের মেয়ের গণধর্ষণে ‘পুলিশ জড়িত’। কারণ, গলু যাদব বারবার করে হুমকি দেয়, ‘সাবধানে থাকুন। আমার বাবা পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর।’
নির্যাতিতার পরিবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, ওই মেয়ের বাবাকে খুন করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ।
ট্রাক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে নির্যাতিতার বাবা। ঘটনাস্থল থেকে কানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। কানপুর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রীতিন্দর সিং বলেন, দুর্ঘটনার পরে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে এবং এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন