মোদির শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন মমতাও
নির্বাচনী প্রচারে পরস্পরকে নিশানা করেছিলেন দুইজনই। বক্তৃতায় কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। দল ছাপিয়ে এবার বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচার কার্যত ‘মোদী বনাম দিদি’র লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে ফেরত আসার পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংসদীয় দলের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, প্রচারে কে কী বলেছেন মনে না রেখে সকলে মিলে উন্নয়নের কাজ করতে চান।
এবার সৌজন্য এবং আনুষ্ঠানিকতায় সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ স্বীকার করে আজ বুধবার দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আনন্দবাজার বলছে, রাজনৈতিক শিবিরের অনেকে মোদির শপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়ার এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন। কারণ আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে। ফলে আনুষ্ঠানিক সৌজন্য রক্ষা করা এখন তার পক্ষে জরুরি।
মমতাও বলছেন, ‘সংবিধানে কয়েকটি আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এটা সাংবিধানিক সৌজন্য। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের যখন আমন্ত্রণ পাই, তখন চেষ্টা করি যাওয়ার।’
খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথ নেওয়ার কথা আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সেই শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র মঙ্গলবার দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছে পৌঁছেছে। আমন্ত্রণ গ্রহণ করার আগে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন একাধিক প্রবীণ বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
পরে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। আমার সঙ্গে দু-এক জন মুখ্যমন্ত্রীরও কথা হয়েছে। এটা যে হেতু আনুষ্ঠানিক সরকারি কর্মসূচি, তাই তাকে সম্মান দিতে আমি যাব।’
এদিকে, শপথের পরের দিন বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা ভোট-পরবর্তী প্রথম বৈঠকও সেরে নিতে পারেন এবং মমতাও এ ব্যাপারে উদ্যোগী বলে সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন