মোদি-ট্রাম্পের রসায়ন টেক্কা দিল ওবামাকে

ক্ষমতায় আসার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের সময় বের করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেগে গেল দীর্ঘ সময়। যে কারণে বলাবলি শুরু হয়ে যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ভাটা পড়েছে।
সোমবারের বৈঠকের পরে অবশ্য সেই সংশয় দূর হয়েছে। বরং উল্টে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে মোদির যে সম্পর্ক ছিল তাকেও ম্লান করার ইঙ্গিত মিলেছে ট্রাম্প-মোদির এই বৈঠকে।
বৈঠকের আগেই ভারতের আবেদন মেনে হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’র তকমা দিয়েছে ওয়াশিংটন। দু’দেশই ‘চরমপন্থী ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে’ বলে অঙ্গীকার করেছে। তবে ট্রাম্প যেভাবে বারবার ‘ইসলামি’ সন্ত্রাসবাদী কথাটা বলেছেন, মোদি তেমনটি করেননি। মোদি ধর্ম আর সন্ত্রাসকে সচেতনভাবেই আলাদা করে গিয়েছেন।
সালাউদ্দিনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করায় বিপাকে পড়বে পাকিস্তান। কারণ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল কাশ্মীর অশান্তি ছড়াতে সক্রিয়। ভারতীয় সেনার হাতে এই দলেরই সদস্য বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর অশান্ত হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকা। আর বুরহানকে শহিদ বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
এদিকে যুক্ত্ররাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল চীন। মঙ্গলবার চীনা সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ লেখা হয়েছে যুক্ত্ররাষ্ট্রের সঙ্গী হয়ে ভারত যদি মনে করে চীনের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে তার ‘ধ্বংসাত্মক ফল’ ভুগতে হবে দিল্লিকে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন