মোদীর রাজ্যেও নিষিদ্ধ ‘পদ্মাবতী
পদ্মাবতীর মুক্তি নিয়ে ভারতের কর্ণী সেনাদের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে ছবিটি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।এবার গুজরাটেও পদ্মাবতী ছবিটি মুক্তি পেতে দেবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
.
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করে রাজপুত ভাবাবেগে আঘাত করছে, এমন ছবি এই রাজ্যে মুক্তি পাবে না।’
প্রবল বিতর্ক এবং হুমকির আবহাওয়ায় ছবিটির মুক্তির দিন অবশ্য আগেই পিছিয়েছেন নির্মাতারা। সেন্সরের ছাড়পত্রও এখনও আসেনি। এমতাবস্থায় অনেকেরই প্রশ্ন, সেন্সর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই রাজ্যগুলো একতরফাভাবে ছবিটির মুক্তি আটকাতে চাইছে কেন।
এ প্রসঙ্গে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের বক্তব্য, ‘আমরা কারও ভাবাবেগে আঘাত আসতে দেব না।’ কিন্তু একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্তের আগে ছবিটি নিষিদ্ধ করা উচিত নয়।
আনন্দবাজার খবরে জানা যায়, বিতর্কটি সংসদের দরজাতেও পৌঁছেছে। লোকসভা পিটিশন কমিটির কাছে ছবিটির বিরুদ্ধে আবেদন করেন রাজস্থানের দুই বিজেপি সাংসদ সিপি জোশী এবং ওম বিড়লা। জোশী নিজেও ওই কমিটির সদস্য।
তিনি জানান, ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পাওয়ার আগে তা ইতিহাসবিদদের দেখানো হবে। মতামত চাওয়া হবে মেবার রাজবংশের উত্তরসূরিদের কাছেও। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেন্সর বোর্ড ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে ছবিটি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে কমিটি।
মন্ত্রক অবশ্য এত কিছুর মধ্যে এখনও পদ্মাবতী নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। এক টুইটে সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিজেপিরই সাংসদ-অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহ। তিনি লিখেছেন, ‘তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী ও আমাদের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত চুপ করে আছেন কী করে। অনেক তো হল!’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন