মোমো চ্যালেঞ্জ কী, কী আকর্ষণ থাকে মেসেজে?

ব্ল‌ু হোয়েলের বিভীষিকাময় দিনগুলিই যেন মোমো নামক আরেক অনলাইন চ্যালেঞ্জের মাধতমে ফিরে এল৷ মোবাইলে সাক্ষাত্‍‌ মৃত্যু৷ চ্যালেঞ্জের ফাঁদে পড়লেই শেষ৷ বিভিন্ন রকমের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আসছে এই চ্যালেঞ্জ৷

সেই চ্যালেঞ্জ নিলেই একের পর এক আরও মারণ চ্যালেঞ্জ দেওয়া হবে৷ না নিলেই মেরে ফেলার হুমকি৷ টার্গেটকে শুধুমাত্র ব্ল্যাকমেইল করেই শেষ করে দেওয়ার ফাঁদ৷ আমাদের আজিকের এই প্রতিবেদনে রইল, সব তথ্য মোমো চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত-

মোমো চ্যালেঞ্জ কী?

বলা হয়, এই চ্যালেঞ্জটি প্রথম শুরু হয় ফেসবুকে৷ যেখানে কোনও এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে অপরিচিত নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়৷ এরপরই গেমটির লিঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করে৷ প্রথম মোমো চ্যালেঞ্জের বলি হয় আর্জেন্টিনায় ১২ বছর বয়সি একটি মেয়ে৷ নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ভিডিও সে মোবাইলে রেকর্ড করে, চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য৷ কার সঙ্গে সেই মেয়েটি কথা বলত, তা এখনও তদন্তে জানা যায়নি৷

চ্যালেঞ্জটির নাম মোমো কেন?

একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইউটিউবে মোমো নামটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে খুব জনপ্রিয়৷ যেখানে একটি ভয়াবহ মুখের পুতুলের ছবি থাকে৷ শিশুরা সহজেই সেই মুখের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে৷

কী কী টাস্ক দেওয়া হয় চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পর?

যখনই টার্গেট মোমো’র ফাঁদে পড়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে, মোমো অ্যাকাউন্ট থেকে একের পর এক বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ দিতে থাকে৷ অ্যাকাউন্টে দাবি করা হয়, সেই চ্যালেঞ্জগুলি পার হতে পারলে মোমো’র সঙ্গে দেখা হবে৷ সেই টাস্কগুলি বেশির ভাগই মারাত্মক৷ এবং আত্মহত্যার দিকেই নিয়ে যায় শেষ পর্যন্ত৷ যদি একটি চ্যালেঞ্জ কেউ অস্বীকার করে, তখনই শুরু হয়ে যায় মোমো’র ব্ল্যাক মেইল ও হুমকি৷

মোমো-এর ছবি

সেই ভয়াবহ মুখের ছবিটি তৈরি করেছিলেন একজন জাপানি আর্টিস্ট৷ তার নাম মিদোরি হায়াসি৷ তিনি জানিয়েছেন, তিনি এই গেম সম্পর্কে কিছুই জানেন না৷ ছবিটির নাম, ‘মাদার বার্ড বাই লিঙ্ক ফ্যাক্টরি’৷

কীভাবে টার্গেট নির্বাচন হয় এই চ্যালেঞ্জে?

যে এই চ্যালেঞ্জটি নিয়ন্ত্রণ করছে, সে সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্চ করে বিভিন্ন প্রোফাইল৷ দেখে, কে আত্মহত্যাপ্রবণ৷ তাকেই নির্বাচন করা হয় টার্গেট হিসেবে৷