‘ম্যাডাম আমাকে ছেলের মতো জানেন’

‘ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। কলেজ জীবনে ছাত্রদল করতাম। সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছি। ঢাকায় গান করতে এসে প্রখ্যাত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। তিনি আমাকে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে নিয়ে যান। ম্যাডাম আমাকে ছেলে বলে সম্বোধন করেন। ম্যাডাম বলেন, তুমি খুব ভালো গান কর। সবাই তোমার গানের প্রশংসা করে। গান নিয়ে এগিয়ে যাও। তিনি দলের হয়ে সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে বলেন। এরপর থেকে দলের হয়ে প্রত্যক্ষভাবে কাজ শুরু করি। ’

সঙ্গীত ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদের (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মনির খান বলেন, ম্যাডামের নির্দেশে গত ১৪ বছর হল ঝিনাইদহের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর দুই উপজেলার বিপুলসংখ্যক বিএনপি সমর্থক ও নেতাকর্মীরা আমাকে শিল্পী হিসেবে পছন্দ করেন। তাদের আহ্বানে রাজনীতিতে এসেছি। তারা চায় আমি নির্বাচন করি। তাছাড়া আমার এলাকায় দলীয় কোনো কোন্দল নেই। সবাই আমার পক্ষে আছেন। আশাকরি নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।

দেশের আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী মনির খান। ‘তোমার ছেলে আজ বড় হয়েছে’, ‘মায়ের গান শুধু মা নেই, শুধু মা নেই’, ‘আট আনার জীবন’, ‘চার আনা ঘুমে’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার ভাঙা ভাঙা হাতে’, ‘তোমার কোন দোষ নেই,’-সহ অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানের কণ্ঠশিল্পী তিনি। সিনেমার গানে শ্রেষ্ঠ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।