ম্যানচেষ্টারে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিবের কণিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৫৯-তম জম্মদিন উপলক্ষ্যে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শেখ রাসেল-এর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রসমূহ প্রদর্শন, শেখ রাসেল-এর স্মৃতিচারণ বিষয়ক আলোচনা, দোয়া ও মোনাজাত। আলোচনার শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

শহীদ শেখ রাসেল-এর জীবন সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য সন্তানদের মতো রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী এবং আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান। স্বল্প সময়ে ছোট্ট রাসেল তাঁর হাস্যেজ্বল ও প্রাণচঞ্চল দুরন্তপনার মাধ্যমে তাঁর আশ-পাশকে সদা প্রাণবন্ত করে রাখতেন। খুব অল্প বয়সে পিতার আদর্শকে ধারণ করার জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তাই তো ছোট্ট রাসেল অন্যান্য সব শিশুদের সাথে নিজের যা কিছু ছিল ভাগাভাগি করতেন এবং মানুষের উপকার করার চেষ্টা করতেন। রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘসময় কারাগারে থাকার কারণে শেখ রাসেল তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় পিতার আদর ও স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু পিতার আদর্শ ও নীতি ছোট্ট রাসেলকে অল্প বয়সেই আকৃষ্ট করেছিল।

বক্তারা স্মরণ করেন যে, ছোট্ট রাসেল বেঁচে থাকলে আজ দেশ সেবায় পিতার মতো নিজেকে উৎসর্গ করতেন। কিন্তু বাঙ্গালী জাতির দূর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকচক্রের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থাপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্য নির্মমভাবে শহীদ হন। সেদিন ছোট শিশু শেখ রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য ঘাকতদের কাছে আকুতি জানিয়েছিল, মায়ের কাছে যাবার কথা বলেছিল। কিন্তু ছোট্ট রাসেলের সেই আকুতি ঘাতকদের একটুও বিচলিত করেনি; নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে

অনুষ্ঠানের শেষে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাফফেরাতসহ ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।