‘ম্যারাডোনার পর্যায়ে যেতে বিশ্বকাপ জিততেই হবে মেসিকে’

কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করা হয় লিওনেল মেসিকে। দুজনই সমানে সমান! এ রকমটি আমরা শুনে থাকি হরহামেশা। তবে বিশ্বকাপজয়ী কোচ কার্লোস বিলার্দোর কণ্ঠে ভিন্ন সুর। তিনি মনে করেন, ম্যারাডোনার পর্যায়ে যেতে হলে মেসিকে অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে হবে।

১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা অ্যান্ড কোংকে পরিচালনা করেন বিলার্দো। তার অধীনেই দ্বিতীয়বারের মতো ফুটবলের সর্বোচ্চ পুরস্কারটি জেতে আর্জেন্টিনা।সেবার সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন ম্যারাডোনা। তার একক নৈপুণ্যে শিরোপা ঘরে তোলে আলবিসেলেস্তেরা।

প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে সব জিতেছেন মেসি। তবে আর্জেন্টিনার হয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি তার। অবশ্য শিরোপা ছুঁয়ে দেখার দ্বারপ্রান্তে গেছেন বেশ কবারই। কিন্তু বারবারই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৫-১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে দলকে তুলেও শিরোপাবঞ্চিত থাকতে হয় তাকে।

ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ফোলহা ডি সাও পাওলোকে বিলার্দো বলেন, ম্যারাডোনার সঙ্গে সবসময় তুলনা করা হয় মেসিকে। তবে তাকে সেই পর্যায়ে যেতে অবশ্যই আজেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিতে হবে।

বিশ্বকাপ জেতানোর মতো সবরকম শক্তি-সামর্থ্য ও দক্ষতা মেসির আছে। আগামী ১৪ জুন রাশিয়ায় বসবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২১তম আসর। এবার আর্জেন্টিনার জেতার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন এ কিংবদন্তি কোচ,তাদের ভীষণ সম্ভাবনা আছে। গত বিশ্বকাপের চেয়ে এটি শক্তিশালী দল। আমরা জার্মানির চেয়েও শক্তিশালী।

স্বপ্নের সোনার ট্রফিটা জয়ের উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি, মেসিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। তাকে কোনো চাপের মধ্যে রাখা যাবে না। অন্য সদস্যদের কেবল সহযোগিতা করে যেতে হবে।

২০১৮ বিশ্বকাপে ডি গ্রুপে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এ গ্রুপে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ড।