যত চ্যালেঞ্জ অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসজুড়ে উত্তাল ছিল দেশ। আগস্টের শুরু থেকে ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যার চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে ৫ আগস্ট। ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভেঙে দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা, বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় জাতীয় সংসদ।

শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপরেখা মেনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান। ৬ আগস্টে রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের দুজন অধ্যাপক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফ্রান্সে থাকা ড. ইউনূস দুবাই হয়ে দেশে ফেরেন বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে। রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন তিনি। গঠিত এ সরকারের সামনে এখন বহু চ্যালেঞ্জ। তরুণদের দাবি মেনে বৈষম্যহীন ন্যায়ভিত্তিক দেশ গড়ার কাজ শুরু করবেন ৮৪ বছর বয়সী এ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেশে শান্তি ফেরানো। এরপর ব্যাংকিং খাত গতিশীল করতে হবে। পাশাপাশি শিল্প-কারখানা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রেখে উৎপাদন স্বাভাবিক করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন ঢেলে সাজানো, শিক্ষাব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, বন্দর স্বাভাবিক করার মতো চ্যালেঞ্জ উতরাতে হবে।