‘যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় খালেদা নির্বাচনে অযোগ্য’
যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হয়েছেন বলে মনে করেন আইনজীবীরা। দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল ফেলে না রেখে বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা শুনানির উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন তারা।
এদিকে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, আইনি লড়াই-এ কোন কমতি রাখেননি তারা।
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর আপিল করেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানির উদ্যোগ না নেয়ায় এ আপিল পড়ে আছে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়।
এরমধ্যেই উচ্চ আদালতের আদেশ আসে, দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ফলে বাতিল হয়ে যায় বেগম জিয়ার প্রার্থিতা। আইনজীবীরা বলছেন, এ আদেশের আগেই বেগম জিয়ার আইনজীবীরা আপিল শুনানির পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, যিনি ফাইল করেছেন উনি যদি আদালতে উল্লেখ না করেন তাহলে এটা কোর্টে আসবেনা। ১৮ নভেম্বর ফাইল করে আজ ১৯ ডিসেম্বর, এখন পর্যন্ত উল্লেখ করেননি। উনারা উল্লেখ করলে আদালতে আসতো। আপিল মঞ্জুর হত এবং বিচারিক আদালতের নথি তলব হত। কিছুটা সুবিধা অবশ্যই পেত।’
বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, তারা আইনি পদক্ষেপের কোন ঘাটতি করেননি।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, যথাসময়ের পয়েন্টে মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়নি সুতরাং ওই প্রশ্নই উঠেনা। আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলনা। সরকার তাকে নির্বাচন করতে দিবে না তাকে বেরও হতে দিবে না।’
প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ভাবছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, এখন আর আপিল করেও কোন লাভ হবে না।
উচ্চ আদালতে জমা দেয়া উকালতনামায় বেগম জিয়ার আইনজীবী হিসেবে ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা পরিচালনায় বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার লক্ষ্য করা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন