যবিপ্রবিতে চুরির সময় লোহার রডসহ ট্রাক্টর জব্দ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান ফটক দিয়ে চুরির সময় পরিত্যক্ত লোহার রডসহ একটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা এই লোহার রড জব্দ করেন।

জানা যায়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নির্মাণকাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে,এ সময় আনসার সদস্যরা গাড়িটির গতি রোধ করেন। ট্রাক্টর তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত লোহার রড উদ্ধার করেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।

পরে রডগুলো জব্দ করে ট্রাক্টরটি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরণে রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্লাম্বার কুদ্দুস ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাব-কন্ট্রাক্টর কামালের যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্য মো. শিমুল বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আমি ১ নম্বর গেটে ডিউটিরত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গাড়ি প্রবেশ ও বাহিরের সময় আমরা ভালো ভাবে চেক করি। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি ট্রাক্টর বের হওয়ার সময় ড্রাইভার বৈধ গেটপাস দেখাতে ব্যর্থ হয়।

এসময় গাড়িটি চেক করি এবং পলিথিনে মোড়ানো আনুমানিক ১০০ কেজি পুরাতন লোহার রড দেখতে পায়। এসময় ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্লাম্বার কুদ্দুস ও ঠিকাদারের লোকের নির্দেশে লোহাগুলো গাড়িতে তুলেছি।

ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই, পরে তাদের উপস্থিতিতে লোহাগুলো গেটে জব্দ রাখা হয় এবং ট্রাক্টরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এবিষয়ে প্লাম্বার কুদ্দুস বলেন, আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই জায়গা থেকে মাটি তুলে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেসময় এই রডগুলো ওই জায়গা থেকে পাওয়া যায়। তখন সাব-কন্ট্রাক্টর আমাকে জিজ্ঞেস করে রডগুলো কি করবো? তখন আমি বলেছিলাম যেহেতু এটা আপনাদেরই রড সুতরাং যেটা ভালো মনে হয় সেটা করতে পারেন।

অন্যদিকে সাব-কন্ট্রাক্টর কামাল দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো রড আমরা চুরি করিনি। ক্যাম্পাসের ভেতরের ময়লার স্তূপ পরিষ্কার করার সময় মাটির সঙ্গে কিছু রড পাওয়া যায়। প্রকৌশল দপ্তরের একজন প্লাম্বারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই রডগুলো গাড়িতে তোলা হয়েছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। আমাদের একজন সহকারী প্রক্টর ওখানে গেছিলেন। আনসাররা রডগুলো জব্দ করে এবং ট্রাক্টরকে ক্যাম্পাস ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, দ্রুতই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।