যবিপ্রবিতে জুনিয়রের মাথা ফাটানোর অভিযোগ সিনিয়রের বিরুদ্ধে

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কথা-কাটাকাটির জেরে শাহরীন রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে শাহীনুর ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত, ভুক্তভোগীর মাথায় ঘুশি দিলে তার মাথা ফেটে যায়।

অভিযুক্ত শাহীনুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর ভুক্তভোগী শাহরীন রহমান একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কদমতলায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী শাহরীন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, সোমবার (০৩ মে) বিকেলে কয়েকজন শিক্ষকসহ আমরা মাঠে ফুটবল খেলছিলাম। খেলাকে কেন্দ্র করে দুইজন সিনিয়রের মধ্যে ঝামেলা হয়, একপর্যায়ে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারে। মারামারি হওয়ায় তখন খেলা শেষ হয়ে যায়। খেলা শেষে আমরা কয়েকজন বন্ধু কদমতলায় বসে বুট খুলে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।

এসময় নিজেদের মধ্যে বলছিলাম খেলার মধ্যে ভাই যে ঘুষি মারছে, এটা ঠিক হয় নাই। পিছনে শাহিনুর ভাই ছিল, সে একথা শুনে উচ্চ গলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে, তুই কিন্তু মাইর খাবি। তখন আমি বললাম, কি কারণে আমাকে মারবেন? তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে শাহিনুর ভাইয়ের হাতে একটা রিং ছিল সেটা দিয়ে সাজোরে আমার মাথায় ঘুষি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

এসময় আমার পুরো গেঞ্জি রক্তে ভিজে যায়। পরে যশোর সদর হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা মাথায় দুইটি সেলাই করে বেন্ডেজ করে দেয়। আমি এবিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের চিকিৎসাপত্রসহ প্রক্টর অফিসে অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

এ ঘটনায় শাহীনুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বন্ধু আশিকুজ্জামান লিমন কল রিসিভ করে জানান, শাহীনুর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ হাফিজ উদ্দিন বলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের এক সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রের মাথা ফেটেছে এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, এক মারামারির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় শাহিনুর ইসলাম’কে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে যবিপ্রবিতে চাকরি প্রার্থী অপহরণের ঘটনায় তার নামে মামলা ও করা হয়।