যবিপ্রবির সাবেক ভিসি ড. সাত্তারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলার পর আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলায় অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (হিসাব) মো. শরিফুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান, যবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ আবুল হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য থাকাকালে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতি ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করে মো. শরিফুল ইসলামকে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে মো. শরিফুল ইসলাম ওই পদে নিয়োগ পেয়ে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন বাবদ মোট ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৫ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করেছেন; যা দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯, ১০৯ ধারাসহ ১৮৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জানা গেছে, ওই নিয়োগ বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার প্রধান ছিলেন। এছাড়া বাছাই বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যবিপ্রবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ শেখ আবুল হোসেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের তখনকার ডিন (বর্তমানে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক) ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ড. মো. আজিজুল ইসলাম এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান।
তারা পরস্পর যোগসাজসে শরিফুল ইসলাম ছাড়াও রাজু আহম্মেদ নামে আরেকজনকে হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দানের সুপারিশ করেন। নিয়োগের সুপারিশ ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়। সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের (রিজেন্ট বোর্ড) এ অনুমোদনকে ড. সাত্তার পরদিন বাস্তবায়ন করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে প্রায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন