যমুনার পানি বাড়ছে, দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের
উজানের পাহাড়ী ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বেড়েই চলছে। যমুনার পানি সিরাজগঞ্জের দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। একারণে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
বর্তমানে যমুনা নদীর পানি কাজিপুর পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ঘন্টায় কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদ সীমা-১৫.৭৩)।
এছাড়া শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপদ সীমা-১৩.৭৪)।
বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ নদী ফুলজোড়, বড়াল, করতোয়া, হুড়াসাগর, ইছামতি নদীসহ চলনবিলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। একারণে নিম্নাঞ্চলের অনেকেই বাঁধ ও উঁচুস্থানে নির্মাণাধীন ভবণ ও খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নিচ্ছেন। ঘর-বাড়িতে পানি ওঠায় বাঁধ ও বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন পার করছেন তারা। এছাড়া অনেকেই রাস্তার পাশে নির্মাণ করছেন অস্থায়ী ছাপরা ঘর।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি বিপদৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২২ ও ২৩ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি কমবে। এখনো বন্যার আশংকাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বন্যায় ভাঙন রোধসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন