যশোরের কেশবপুরে অচেতন করে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট!
যশোরের কেশবপুরে খাদ্যের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচেতন একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য দ্রব্যের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে শুক্রবার রাতের যে কোন সময় কেশবপুর সদর ইউনিয়নের মূল গ্রামের আওয়ামীলীগের নেতার ভাই আমিনুর রহমানসহ তার বাড়ীর সবাইকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও ঘরের আলমারিতে গচ্ছিত নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। অচেতন অবস্থায় বাড়ীর মালিক আমিনুর রহমান (৩৫),স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন(২৩) ও ভাগ্নে সবুজ হোসেনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় আমিনুরের ভাই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে শনিবার অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
আতিয়ার রহমান তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ধারনা অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা ২৫ ডিস্মেবর দিনের বেলায় যে কোন সময় সুযোগ বুঝে তার ভাইয়ের রান্না ঘরের খাদ্য দ্রব্যের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দিয়ে বা কোন সময়ে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করে দেওয়ার ফলে তার ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা সেটি খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়ার পর এই চুরি বা লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে চোরেরা।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। চোরদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন