যশোরের কেশবপুরে নিবন্ধন ছাড়াই ১৪ বছর চাকুরী এক সহকারী শিক্ষক!

যশোরের কেশবপুরে এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, যশোর বারোবাজার সোনালী ব্যংক কর্মকর্তা কেশবপুর উপজেলার কাস্তা গ্রামের সাইফুজ্জামান মিলনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন উপজেলার শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত নিবন্ধন ছাড়াই বহাল তবিয়তে চাকুরি করে আসছেন। রোজিনা খাতুন পার্শ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের আনসার আলী মোড়লের কন্যা। তিনি বিগত ০৬-০৮-২০১০ ইং তারিখে স্মারক নং-শি:/মাঃ/বিঃ-০১/১০ নিয়োগ পত্রের আদেশ অনুযায়ী শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক(সমাজ বিজ্ঞান)পদে যোগদান করেন। সেই থেকে নিয়মিত ভাবে সরকারী বেতন-ভাতাসহ সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন।

তথ্যসূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১০-০৭-২০১০ খ্রীঃ নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশক্রমে ব তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোজিনাকে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা

গ পদে নিয়োগ প্রদান করেন। তবে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তৎকালীন বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান খাঁন ও সভাপতি মতিয়ার রহমান এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদ নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের ম্যানেজ করে নিবন্ধনের সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সম্পুর্ন অবৈধভাবে রোজিনাকে নিয়োগ প্রদান করেন।

এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের তৎকালীন কমিটির সদস্যবৃন্দদের কয়েকজন বলেন, টাকার বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড রোজিনাকে নিয়োগ দেয়। তার নিয়োগ বাতিলের জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু কোন কোন লাভ হয়নি। বরং শত্রু হয়ে আছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন,আমি অত্র প্রতিষ্ঠানে ২০১৭ সালে যোগদান করি। স্কুলে সংরক্ষিত রোজিনা খাতুনের ফাইলে তার কোন নিবন্ধন সার্টিফিকেট পায়নি,তবে তার নামে ২০১২ সালের একটি নিবন্ধন দেখেছিলাম। ঐ নিবন্ধনের সাথে নিয়োগ পত্রের অমিল থাকায় সেটি গ্রহন করা হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে রোজিনা খাতুনের বিষয়টি আমি জেনেছি। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তার নিয়োগপত্রের যাবতীয় কাগজপত্র জমা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এব্যাপারে শিক্ষিকা রজিনা খাতুন বলেন, আমি বৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত। নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমেই আমার যোগদান হয়। সরকারি নীতিমালা মেনেই আমার নিউ হয়েছে।

এব্যাপারে শিকারপুর বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাটি জেনেছি দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।