যশোরের বেনাপোলে ওলামা মাশায়েখদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলায় নিহত ও আহত মুসল্লীদের প্রতি শোক ও ন্যায়বিচারের দাবিতে বেনাপোলে ওলামা মাশায়েখদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বেনাপোল বাজারস্থ রহমান চেম্বারের সামনে এ সমাবেশ হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় চারজন নিহত এবং অসংখ্য মুসল্লী আহত হন। নিহত ও আহতদের প্রতি দোয়া প্রার্থনা এবং হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানান নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন সাদীপুর বেলতলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হোসেন, মুফতি সাইদুল বাশার (মুহতামিম, বেনাপোল জামিয়া ইসলামিয়া ও লতিফা ইয়াছিন এতিমখানা), মুফতি আবু হানিফ (ইমাম, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন জামে মসজিদ) সহ আরও বিশিষ্ট ওলামা মাশায়েখ।

বক্তারা বলেন, টঙ্গীর ঘটনায় সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি এবং বাংলাদেশে তাদের সব কার্যক্রম স্থায়ী ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্মের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের এই দেশে ঠাঁই নেই।

তারা আরও অভিযোগ করেন, সাদপন্থীদের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যা ইসলামের আদর্শের বিরুদ্ধে।

সমাবেশে বক্তারা কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন:
* টঙ্গীর হামলায় জড়িত সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

* বেনাপোলের “বাগে জান্নাত মাদ্রাসা”-কে সাদপন্থীদের প্রভাবমুক্ত করে হক্কানী আলেমদের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দিতে হবে।

* কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান এবং দেশের সব মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

* হামলার ঘটনায় জড়িত গডফাদারদের, যেমন ওয়াসিফুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ইজতেমা মাঠের হামলায় চারজন নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মামলা দায়েরের পর দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”

যশোর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এসময় বক্তারা ইসলামের শান্তিপূর্ণ পথ অবলম্বন করেই অন্যায় প্রতিহত করার আহ্বান জানান। বিক্ষোভ শেষে নিহতদের জন্য দোয়া এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার প্রার্থনা করা হয়।