যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও যাতায়াত স্বাভাবিক
যশোরের বেনাপোল–পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি ও পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল–পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমদানি–রপ্তানি ও পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত, গত দুই দিন ধরে এমন গুজব ছড়াচ্ছে। ফলে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন অনেকে। তবে বেনাপোল–পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানি ও যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপরীতে থাকা ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে গতকাল সোমবার ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও জমায়েত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের হুমকি দেওয়া হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি ও যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ও শুল্ক ভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল গনি জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করছে। গতকাল সোমবারও পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত ও আমদানি রপ্তানি সচল ছিল বলে জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানান, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার ভারত থেকে ২৪৩ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২০১ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৪০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে ও বেনাপোল থেকে ২০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
ওপারের পরিস্থিতি জানতে চাইলে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রী সৌমেন দাস ও আনিছুর রহমান জানান, আতঙ্কের কারণে অনেক বাংলাদেশি আছেন যারা চেকপোস্ট বন্ধের খবর শুনে দেশে ফিরছে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালক আরিফ মন্ডল ও সজিব দাস বলেন, ‘আগের থেকে বর্ডার একটু কড়া। তবে মালামাল রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করেনি কেউ।’
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য পেট্রাপোল বন্দরে খালি করে ফেরত আসা ট্রাক চালক শিপন হোসেন জানান, তিনি স্বাভাবিক সময়ের মতো পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য খালি করে ফিরে এসেছেন। সেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটু জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতে যাওয়ার চেয়ে আসার যাত্রী একটু বেশি। যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ওপারে কোনো সমস্যা হয়নি। ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় ভারতগামী যাত্রীর চাপ কমছে বলে জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন