যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে শর্ত
যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান কিংবা ২০ হাজার পিসের বেশি ঘোষণার তৈরি পোশাক (যেমন: শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডার গার্মেন্টস ইত্যাদি) পণ্যের চালান কায়িক পরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এ আদেশের ফলে রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একই আদেশে ১২ ধরনের আমদানি পণ্যকে সংবেদনশীল ও শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছে। এর মানে হলো- এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক-কর ফাঁকি দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই পণ্যগুলো হলো প্রসাধনসামগ্রী, সব ধরনের কাপড়, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, নতুন ও পুরোনো মোটর পার্টস (টু-হুইলার, থ্রি-হুইলার, ফোর-হুইলার ইত্যাদি), টায়ার ও টিউব, বাইসাইকেল যন্ত্রাংশ।
ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, শিল্প খাতের যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচারের সামগ্রী, একই চালানে পাঁচ মিশালি পণ্য। এসব পণ্যের চালানও কায়িক পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কায়িক পরীক্ষার মানে হলো, এতে পণ্যের চালান খুলে দেখা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া পণ্যের সঙ্গে মিল আছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়। বেনাপোল দিয়ে সাধারণত ভারতে পণ্য রপ্তানি হয়। তবে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করতেও অনেকে এ বন্দর ব্যবহার করে থাকেন।
এ ছাড়া এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এইচএস কোডসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পণ্যের চালানের কায়িক যাচাই-বাছাই করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। পাশাপাশি শুল্ক-কর ফাঁকি রোধে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন