যশোরের মণিরামপুরে একই দিনে পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

যশোরের মণিরামপুরে একই দিনে দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হেল্লাল উদ্দিন (৩২) নামের একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। আর অরণ্য মন্ডল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা হরেছে।
এ দুটি ঘটনা ঘটেছে- বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) দুপুর থেকে রাত ৮টার মধ্যে বলে জানা গেছে।

ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হেল্লাল উদ্দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন উপজেলার বাঙ্গালীপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের শিক্ষক আব্দুল রশিদের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবি জানান- হেল্লাল উদ্দিন তার বাড়ির পাশে আব্দুর রহমানের বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ¦বর্তী চিনাটোলা বাজারের এক স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহতের পিতা আব্দুর রশিদ জানান-আইনগত ঝামেলা সেরে এদিন আছরবাদ স্থানীয় ঈদগায় জানাজা শেষে হেল্লালকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাঙ্গালীপুর গ্রামের হেল্লাল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

এদিকে নিজের কক্ষে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে অরণ্য মÐল নামের এক একাদশ শ্রেণির ছাত্র। নিহত অরণ্য মন্ডল উপজেলার পলাশী গ্রামের অশোক মন্ডলের ছেলে এবং পলাশী আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে- বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) রাত ৮টার পরে অরণ্যের নিজ কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে- অরণ্য দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও সে ঘর থেকে বের হচ্ছিল না। এরপর পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে অরণ্যকে ফ্যানের সঙ্গে কাপড় জড়িয়ে ঝুলে থাকতে দেখে। স্বজনরা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আগে অরণ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে।
এ বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রসেনজিৎ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- অরণ্যের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটল, সেটা জানা যায়নি।