যশোরের মণিরামপুরে এবছর ১৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ
যশোরের মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালিন সবজি। চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজি পুরোপুরি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
এখন বাজারে শীতকালিন সবজির দাম একটু চড়া রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা ব্যাপী চলতি বছর ১৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে শিম চাষ করা হয়েছে ৬১ হেক্টর জমিতে। বাকি ১৬৮৯ হেক্টর জমিতে লাল শাক, পালং শাক, বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, লাউসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়েছে। এসব সবজি শীতের শুরুতেই বাজারে বিক্রি করতে পারবেন এবং দামও ভালো পাবেন বলে আশাবাদি কৃষকরা।
উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নে সব থেকে বেশি সবজি চাষ হয় হয়াতপুর শাহপুর মাঠে। দুই গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেন এই মাঠ থেকে। হয়াতপুর, শাহপুর মাঠে কথা হয় কয়েকজন সবজি চাষির সাথে। তারা বলেছেন- আমরা, আমাদের জমিতে শীতকালিন সবজি হিসেবে বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকি। এই মাঠে হলুদ থেকে শুরু করে মেটে আলু এবং সকল ধরণের সবজি চাষ করা হয়। যা আমরা শীতকাল ভর পরিচর্যা করি এবং বাজারে বিক্রি করি। আমাদের বেশি লোকসান হয় না। কৃষকেরা জানান, আমরা কীটনাশকের পাশাপাশি জৈব সার বেশি প্রয়োগ করি সবজি ক্ষেতে। এখন বাজারে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, মুলাসহ আরো কয়েক প্রকার সবজি বাজারে বিক্রি করছি। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। আশাকরছি এবছর শেষ পর্যন্ত ভালো দাম পাবো। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে- শীতকালীন শাক-সবজি এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি।
নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ও ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসবে। কৃষকরা এবার দামও ভালো পাবেন এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে মণিরামপুর উপজেলায় এবছর শীতকালীন সবজি উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমনটা আশা করা যাচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন