যশোরের মণিরামপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে দুদকের অভিযান

যশোরের মণিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল্লাহ বায়েজিদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৯ মে-২০২২) দুপুরে দুদকের যশোর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল পিআইওর দপ্তরে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালান।

জাতীয় দৈনিক সমকালের মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি মজনুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এ অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৭ মার্চ দুদকের মহাপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বরাবর পিআইওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এ সাংবাদিক।

এদিকে বাদীর অভিযোগ- তাঁকে না ডেকে পিআইও অফিসে অভিযানে গেছে দুদক।

মজনুর রহমান বলেন- ২০২০-২১ অর্থ বছরে মণিরামপুরে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের নিয়মিত বরাদ্দ বাদে দুটি বরাদ্দ আসে। সরেজমিন প্রকল্প ঘুরে প্রতিবেদন করার জন্য গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর পিআইওর কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করি। দপ্তরে সহকারী না থাকার অজুহাতে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে পরের মাসের ১২ তারিখ চিঠি দেন পিআইও। এরপর তাঁর দপ্তরে সহকারী যোগদানের খবর পেয়ে একই তথ্য চেয়ে ১৯ ডিসেম্বর ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসানের বরাবর আবেদন করি।

বাদী বলেন- এরপরও সাড়া না মেলায় আবার তথ্য চেয়ে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। সেখানে ব্যর্থ হয়ে দুদকের মহাপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বরাবর আবেদন করেছি।
মজনুর রহমান বলেন- দুদকের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আপিল কর্তৃপক্ষ বরাবর আপিল করেছি। সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না, জানতে পারিনি।
এদিকে মজনুর রহমানের আগে আজকের পত্রিকার মণিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন ইউএনও বরাবর একই তথ্য চেয়ে আবেদন করে তথ্য পাননি। এ ছাড়া দৈনিক স্পন্দনের মণিরামপুর প্রতিনিধি প্রভাষক নুরুল হক পিআইওর কাছে তথ্য চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মজনুর রহমান বলেন- ২০২০-২১ সালে টিআর ও কাবিটার ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে যে প্রকল্প এসেছে সেখানে সঠিকভাবে কাজ না হয়ে পিআইওর যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ অভিযোগ পেয়ে আমরা তথ্য চেয়েছি। কিন্তু যতবার তথ্য চেয়েছি, ততবার ব্যর্থ হয়েছি।

দুদকের তদন্তের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল্লাহ বায়েজিদের মোবাইল নম্বরে কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার।

দুদকের যশোর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোশারেফ হোসেন বলেন- সাংবাদিক মজনুর রহমানের অভিযোগসহ অন্য অভিযোগ নিয়ে রোববার মণিরামপুরে পিআইওর দপ্তরে অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা দুই সদস্যের দল দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পিআইও অফিসে ছিলাম।
মোশারেফ হোসেন বলেন- আমি একটি প্রকল্প সরেজমিন দেখেছি। পিআইও অফিস থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছি।