যশোরের মণিরামপুরে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির ফলাফলে বালকের নাম

যশোরের মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়। প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় ৫৫ নম্বর ক্রমিকে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়- মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মণিরামপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৬০টি আসনের বিপরীতে ১৬৭ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে। এদিন সন্ধ্যায় লটারির মাধ্যমে ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়।

তালিকায় বালকের নাম আসা বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত শিক্ষক সুমন ঘোষ বলেন- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলের কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছ থেকে স্বাক্ষর করে এনে বিদ্যালয়ের দেয়ালে সাঁটা হয়েছে। একটি বালক চান্স পাওয়ার বিষয়টি প্রথমে আমরা খেয়াল করিনি। পরে জানতে পেরেছি।

ওই শিক্ষক আরও বলেন- শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন অনলাইনে করে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। ছেলেটির পরিবার অনলাইনে আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের সময় ভুল করে বালক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বালিকা বিদ্যালয়ের নাম আবেদনে যুক্ত করে থাকতে পারে। অথবা লিঙ্গ নির্ধারণের সময় ভুল হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন- ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ে মেয়েদের মধ্যে একটি ছেলের নাম আসার বিষয়টি আমার জানা নেই। ফলাফল আমি ওভাবে এখনো দেখিনি।

মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউএনও কবির হোসেন বলেন- আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।

বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির তালিকায় থাকা শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদের বাবা আব্দুল কাদের বলেন- আমার ছেলের নাম বালিকা বিদ্যালয়ের তালিকায় আসার খবর আমি জানি না। আমার ছেলে প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমানকে দিয়ে আমি ছেলের ভর্তির আবেদন করেছিলাম।