যশোরের মনিরামপুরে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মর্মান্তিক মৃ*ত্যু

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামের মৃত মুনসাব আলী মোড়লের ছেলে আব্দুল আজিজ দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত্যু ফটিক সরদারের ছেলে আব্দুর রহমানের মাসের ঘেরে পাহারাদারের কাজ করে আসছে। ১ ডিসেম্বর রোববার বিকালে পাহারাদার বাড়ি থেকে ঘেরে কাজ করতে যায়। কাজ করা কালে অসাবধানতবসত বিদ্যুতের তারের সাথে জড়িয়ে যায়। এ সময় পাশের ঘরের লোকজন বিষয়টি দেখতে পাই। লোকজন এসে পরে তাকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষনা করেন। ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে জানাযা শেষে নিহতের মরদহ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহতের দুটি সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জামাত আলী জানান, অনেক দূর থেকে বিদ্যুতের তার বিভিন্ন মাছের ঘেরে টেনে নেওয়ায় এ ধরনের দুর্ঘটনার ফিগার হতে হয়েছে ইতিপূর্বে অনেকেরই। ঠিক একইভাবে দুর্ঘটনার শিকার হতে হলো এই পাহারাদারের। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করছেন স্থানীয় অনেকেই। এদিকে একই দিনে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মৃত রহিমের ছেলে সামছুর রহমান নামের এক ভাংগাড়ী ব‍্যবসায়ীর সড়ক র্দূঘটনায় মৃত‍্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে রামনাথপুর গ্রামের ছেলে সামছুর রহমান ভাংগাড়ী ব‍্যবসা করার জন‍্য ১ ডিসেম্বর রোববার বাড়ি থেকে বরিশালে যায়। সেখান থেকে সাইকেলে চড়ে ভাংগাড়ী কুড়াতে গ্রামের উদ্দেশ‍্যে বের হয় সামছুর রহমান। পথিমধ‍্যে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন সে। এ সময় মুখোমুখি দুটি ট্রাক সংঘর্ষ হয়ে একটি ট্রাক উল্টে ঐ চায়ের দোকানের উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ভাংগাড়ী ব‍্যবসায়ী সামছুর রহমান সহ ৫/৬ জন ঘটনা স্থলে মারা যান বলে নিহতের প্রতিবেশি আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন। নিহতের দুটি পুত্র সন্তানসরয়েছে। তিনি আরো বলেন, সোমবার বিকালে নিহতের লাশটি বাড়িতে এসে পৌছায় ও রাতেই দাফন কার্য‍্য সম্পাদন করা হয়েছে।