যশোরের মনিরামপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন : কৃষকের মুখে হাসি

চলতি মৌসুমে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় আশাতিত ফলন পেয়ে কৃষকের চোখে মুখে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। কষ্টের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষাণীরা এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে।

সোনালী ফসলে প্রতিটি মাঠ এবার ভরে গেছে। তাইতো আনন্দের জোয়ারে ভাসছে প্রতিটি কৃষক পরিবার। প্রকারন্তে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে প্রত্যেক কৃষক পর্যায়ে তাদের কাংখিত বোরো ধান মাঠ থেকে ঘরে তুলতে বেশ শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সুষ্ঠুভাবে কৃষকরা যদি তাদের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পারে তাহলে বোরো ধানের উৎপাদন অতীতের সকল বছরের রেকর্ড এবার ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষক ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভিত্তিক উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মন্তব্য থেকে জানা গেছে। সেই সাথে ধানের বাজার দর যদি ঠিক থাকে তবে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় চেয়ে কৃষকরা অধিক লাভের মুখ দেখতে পারবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- এবছর ইরি-বোরো মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে সাড়ে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

ঝাঁপা ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র জানান- অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ইরি-বোরোর ফলন অধিক।
তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান- গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজগঞ্জের চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামানের ব্রি- ৮১ জাতের ধানের শস্য কর্তন করা হয়েছে। ওই কৃষকের হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৬.৮৫ টন।

তিনি আরো বলেন- আশাতিত আবাদকৃত বোরো ধান প্রতিটি কৃষক সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারলেই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।

এমন ফলন পেয়ে কৃষক আসাদুজ্জামানও বেশ খুশী।
তিনি বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে জমি তৈরি থেকে শুরু করে সেচ, সার ও বালাই নাশক প্রয়োগ করে তিনি এমন উচ্চ ফলন পেয়েছেন। ব্রি-৮১ ধান আগাম কাটা যায়। যে কারণে ঝড়বৃষ্টির এই মৌসুমে পাকা ধান ঘরে তুলতে সহজ হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।